ই-পাসপোর্টের ডেটা সুরক্ষায় সাধারণত নিচের ব্যবস্থাগুলো অবলম্বন করা হয়-
বেসিক অ্যাকসেস কন্ট্রোল (বিএসি):
এতে চিপ এবং রিডারের মধ্যে যোগাযোগ সুরক্ষিত রাখতে এনক্রিপটেড তথ্য আদানপ্রদান করা হয়। চিপের তথ্য পড়ার ক্ষেত্রে মেশিন রিডএবল জোন থেকে প্রাপ্ত একটি 'কি' প্রবেশ করাতে হয়। মেশিন রিডএবল জোনে ব্যবহারকারীর জন্ম তারিখ, পাসপোর্টের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার তারিখ এবং ডকুমেন্ট নাম্বার অন্তর্ভুক্ত থাকে।
বিএসি ব্যবহারের কারণে আক্রমণকারীরা যথাযথ 'কি' না জেনে তথ্যে আড়ি পাততে পারে না। তবে বিএসি এর কিছু দুর্বলতার কারণে বর্তমানে এর বিকল্প হিসেবে সাপ্লিমেন্টাল অ্যাক্সেস কন্ট্রোল (এসএসি) চালু রয়েছে।
প্যাসিভ অথেনটিকেশন (পিএ)
পাসপোর্ট চিপে রক্ষিত তথ্যে কোনো পরিবর্তন চিহ্নিত করতে ব্যবহৃত হয়। চিপে একটি এসওডি ফাইল থাকে, যাতে চিপে রক্ষিত সব তথ্যের হ্যাশ ভ্যালু এবং এদের একটি ডিজিটাল সিগনেচার উল্লিখিত থাকে। চিপের কোনো তথ্য পরিবর্তন করা হলেই হ্যাশ ভ্যালুর ভিন্নতা থেকে তা শনাক্ত করা হয়। বায়োমেট্রিক পাসপোর্টে পিএ ব্যবহার বাধ্যতামূলক। এখানে একটি ডিজিটাল স্বাক্ষর রাখা হয়, এটি রাষ্ট্রের সাইনিং কি সম্বলিত একটি ডকুমেন্ট সাইনিং কি ব্যবহার করে বানানো হয়।
অ্যাকটিভ অথেনটিকেশন (এএ):
এ পদ্ধতি ব্যবহার করে নকল পাসপোর্ট চিপ তৈরি ঠেকানো হয়। এতে একটি ব্যক্তিগত 'কি' থাকে, যা নকল করা সম্ভব না হলেও এর অস্তিত্ব সহজেই প্রমাণ করা যায়
এক্সটেন্ডেড অ্যাকসেস কন্ট্রোল (ইএসি):
এ পদ্ধতি ব্যবহারে চিপ এবং রিডার উভয়েরই নির্ভরযোগ্যতা পরীক্ষা করা হয়। এই ব্যবস্থা সাধারণত ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং আইরিস স্ক্যান সুরক্ষিত রাখতে ব্যবহৃত হয় এবং এর এনক্রিপশন সিস্টেম বিএসি-এর তুলনায় শক্তিশালী। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে সবরকম ডকুমেন্টের জন্যই ইএসি ব্যবহার বর্তমানে বাধ্যতামূলক।
এ ছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ আরও কিছু দেশে চিপে অনধিকার প্রবেশ ঠেকাতে পাসপোর্ট কাভারের নিচে খুবই পাতলা ধাতব পাত ব্যবহার করা হয়।
যাচাই পদ্ধতি:
অটোমেটিক বর্ডার কন্ট্রোল সিস্টেমে (ইগেইট) ইংরেজি ছাড়া অন্য ভাষার বর্ণ নিয়ে গঠিত নামগুলোর ক্ষেত্রে পাসপোর্টের নন-রিডএবল জোনে লোকাল স্ক্রিপ্ট ব্যবহার করে উচ্চারণের জটিলতা দূর করা হয়। তবে, মেশিন-রিডএবল জোনের ক্ষেত্রে আইসিএও-এর স্ট্যান্ডার্ড অনুসরণ করা হয়। এক্ষেত্রে ভিন্ন উচ্চারণভঙ্গির বর্ণগুলোকে সরল রূপ দেওয়া হয়। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে কি ম্যাপিং অনুসরণ করা হয়।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS